বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
চলতি বছরের শুরু থেকেই আর্থিক সংকটের মুখে মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপল আইএসও ডিভাইসের জন্য অ্যাপ ট্র্যাকিং স্বচ্ছতা চালু করা এবং তার গোপনীয়তা নীতি আপডেট করার পর থেকে ফেসবুক , হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামের বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। অর্থিক লোকসান কাটাতে মেটা তার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর জন্য কয়েকটি পেইড ফিচার্স আনতে যাচ্ছে।
বিষয়টা সহজভাবে বললে গেলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নির্দিষ্ট কিছু ফিচার ব্যবহারের জন্য টাকা দিতে হবে। প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ভার্জ একটি প্রতিবেদনে বলেছে, মেটা তার কর্মচারীদের কাছে একটি ইন্টারনাল নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে অনুমান করা হচ্ছে ফিচারগুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে মেটা। যদিও এ নিয়ে মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
দ্য ভার্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, মেটার পেইড ফিচার কার্যকর করার জন্য ইতিমধ্যে নিউ মনিটাইজেশন এক্সপিরিয়েন্সেস নামক একটি নতুন পণ্য সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অর্থপ্রদানের বৈশিষ্ট্যগুলো সনাক্ত করতে এবং তৈরি করতে সংস্থাটি স্থাপন করা হয়েছে। সংস্থাটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রতিতি রায় চৌধুরী, যিনি আগে মেটার গবেষণার প্রধান ছিলেন।
মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট জন হেগম্যান দ্য ভার্জকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমি মনে করি আমরা নতুন ধরণের পণ্য, বৈশিষ্ট্য এবং অভিজ্ঞতা তৈরি করার সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। যেগুলোর জন্য লোকেরা অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক এবং এর জন্য অর্থ প্রদান করতে আগ্রহী হবে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জন্য অগ্রীম বিল দেওয়ার প্রচলন আগে থেকেই ছিল। আয় বাড়াতে এবার বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এখন বিলের সংযোজনের পথে হাঁটছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় টুইটারের টুইটার ব্লু ফিচারের কথা। যেখানে অগ্রীম টাকা দিয়েই এটা ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া টিকটকেও আছে অগ্রীম টাকা দিয়ে সাবস্ক্রিপশন সেবা।
Discussion about this post