অনলাইন ডেস্ক
তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ১০ মে, ২০২৩ চীনা বাজারে ১১ প্রো-ফাইভজি সিরিজের ডিভাইস উন্মোচন করেছে। নতুন এই সিরিজের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি ১১ প্রো+
ফাইভজি ও রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি স্মার্টফোন। এর মধ্যে রিয়েলমি’র ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন অফ দি ইয়ার হিসেবে ১১ প্রো+ ফাইভজি ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। রিয়েলমি হিরো সিরিজের এ দু’টি স্মার্টফোনেই গুচি প্রিন্ট ও টেক্সটাইলের সাবেক ডিজাইনারের করা লাক্সারি মাস্টার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী রিয়েলমি নাম্বার সিরিজের ৫০ মিলিয়ন ডিভাইস শিপমেন্ট করা হয়েছে, যা রেকর্ড সময়ের মধ্যে রিয়েলমি’র ১০০ মিলিয়ন ইউনিট ডিভাইস বিক্রির মাইলফলক অর্জন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠানটি ‘নো লিপ-ফরোয়ার্ড ইনোভেশন, নো প্রোডাক্ট রিলিজ’ এই উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বছর যুগান্তকারী ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন হিসেবে রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজি নিয়ে এসেছে। এই সেগমেন্টের বাকি ফোনগুলোর তুলনায় এই ডিভাইস অনেক উন্নত কারণ এতে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেল সুপারজুম ক্যামেরা, যা বিশ্বে প্রথম।
ডিভাইসটি জুম সক্ষমতা, হাইয়ার পিক্সেল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের যুগান্তকারী মোবাইল ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাই কেবল দিবে না; পাশাপাশি ডিজাইন, ব্যাটারি লাইফ, মেমোরি ও অন্যান্য ফিচার ব্যবহার করার সময় উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্যামসাং আইএসওসিইএলএল এইচপি৩ সুপারজুম সেন্সর, ১/১.৪ ইঞ্চি আকারের বড় সেন্সর ও এফ/১.৬৯ অ্যাপারচার।
২০০ মেগাপিক্সেলের চমৎকার ছবি তোলা যাবে এই ফোন দিয়ে। ৪X লসলেস জুম ও অটো-জুমে সহায়তা করতে রিয়েলমি ১১ প্রো+ফাইভজিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইন-সেন্সর জুম টেকনোলজি।
পাশাপাশি, ডিভাইসটিতে রয়েছে সুপারওআইএস, সুপার নাইটস্ক্যাপ, মুন মোড ও স্ট্যারি মোড প্রো’র মতো ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা সেটিংস, যা ছবির মাধ্যমে সব ধরনের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
ব্যবহারকারীরা এখন ৩২ মেগাপিক্সেল সনি সেলফি ক্যামেরা, সুপার গ্রুপ পোর্ট্রেইট মোড, ওয়ান টেক মোড এবং ফ্যানদের পছন্দের স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মোড ৪.০ এর মাধ্যমে ফটোগ্রাফির অনন্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের জন্য চোখধাঁধানো ডিভাইস নিয়ে এসেছে নতুন এই সিরিজটি। সানরাইজ বেইজ, ওয়েসিস গ্রিন ও অ্যাস্ট্রাল ব্ল্যাক- এই তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি। গুচির সাবেক প্রিন্ট ও টেক্সটাইল ডিজাইনার ম্যাটিও মেনোটোর করা এই দুর্দান্ত ডিজাইনটি রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিওর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।
সারাবিশ্বের তরুণদের কথা বিবেচনা করে এই দুর্দান্ত ডিজাইনের ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে।
মিলান শহরের অপরূপ সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ফোনের রঙ ডিজাইন করা হয়েছে। সূর্য উদয়ের সময় মিলানের বিভিন্ন স্থাপত্যের নান্দনিক সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়, সেই সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই ফোনে সানরাইজ বেইজ রঙ নিয়ে আসা হয়েছে। এই ডিজাইন প্রিমিয়াম উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিউরেট করা হয়েছে। এছাড়া, ত্রিমাত্রিক ওয়েভেন টেক্সচারের সাথে লিচি ভেগান লেদার এর সমন্বয়ের কারণে তৈরি হয়েছে খুবই ট্রেন্ডি রঙ।
পাশাপাশি, রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজিতে রয়েছে শক্তিশালী ১০০ ওয়াটের সুপারভুক চার্জ ও ৫,০০০
মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। এই ফোনে ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ২,১৬০ হার্জের ডিমিং ফ্রিকয়েন্সি সহ ১২০ হার্জের কার্ভড ভিশন ডিসপ্লে এবং প্রথমবারের মতো ২০,০০০ মাত্রার অটোমেটিক ব্রাইটনেস
অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজির মতো একই রকম প্রিমিয়াম ডিসপ্লে কনফিগারেশন রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসেও ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটি ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টিইউভি রাইনল্যান্ডের দু’টি সম্মানজনক আই প্রোটেকশন সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। এতে যুগান্তকারী স্ক্রিন টেকনোলজির পাশাপাশি আরও রয়েছে ১০০ মেগাপিক্সেল সরাসরি আউটপুট, ২X লসলেস জুম, অটো-জুম মোড, সুপার নাইটস্ক্যাপ মোড ও স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মোড ৪.০।
হাই পারফরমেন্স, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও সুবিশাল স্টোরেজ এতোসব সুবিধার কারণে রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি সিরিজকে সত্যিকারের ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিভাইসটিতে রয়েছে ডাইমেনসিটি ৭০৫০ ফাইভজি চিপসেট, ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম (স্টোরেজ)। ডিভাইস ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে এতে রয়েছে ৬৭ ওয়াটের সুপারভুক চার্জ, ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, রিয়েলমি ইউআই ৪.০ ও ডলবি প্যানারোমিক ডুয়েল স্পিকার।
Discussion about this post