অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবছরের ইন্দোনেশিয়ান সরকার তিন ধরনের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে। তিন মাসের কালচালারাল এক্সচেঞ্জ, দার্মাশিশওয়া ও কেএনবি। দার্মাশিশওয়া ও কেএনবি ইন্দোনেশিয়ান সরকারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি। দার্মাশিশওয়া শিক্ষাবৃত্তি এক বছরের, কেএনবি শিক্ষাবৃত্তি তিন বছরের। উভয় শিক্ষাবৃত্তিতে ইন্দোনেশিয়ান ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক। দার্মাশিশওয়া শিক্ষাবৃত্তি সাধারণত ইন্দোনেশিয়ান ভাষা, সংস্কৃতি, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও চারুকলার ওপর দেওয়া হয়ে থাকে। কেএনবি ইন্দোনেশিয়ান সরকারের তিন বছরের শিক্ষাবৃত্তি, যা মোটামুটি প্রচলিত সব বিষয়ের ওপরই দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে চারজন এই শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকে। বৃত্তির কভারেজ হিসাবে প্রতি মাসের হাতখরচ বাবদ ২০০-৩০০ ইউএস ডলার মিলবে। এ অর্থে আয়েশেই ইন্দোনেশিয়ার যেকোনো শহরের জীবন যাপন করা যায়।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার প্রায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েরই নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি রয়েছে। যেখানে সুবিধা ও বৃত্তির অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী আলাদা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
* সাধারণত স্নাতক পাস হতে হবে। জিপিএ–৩ থাকলে ভালো হয়
* সব একাডেমিক সার্টিফিকেট
* বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের রিকমেন্ডেশন
* পাসপোর্ট
* মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স
* রিসার্চ প্রপোজাল।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বৃত্তির ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব চাহিদা।
প্রতিবছর সাধারণত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দার্মাশিশওয়া শিক্ষাবৃত্তির আবেদন ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস, বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কেএনবি শিক্ষাবৃত্তির আবেদন সাধারণত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে একইভাবে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সেমিস্টার শুরুর আগে শিক্ষাবৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
স্কলারশিপ কাভারেজ
* প্রতি মাসের শিক্ষাবৃত্তির অর্থ
* সব ধরনের বই ও অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী (স্কলারশিপ ভেদে)
* বিমান টিকিট (স্কলারশিপ ভেদে)
* ডরমিটরি (স্কলারশিপ ভেদে)
ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আনন্দের সঙ্গে পাঠদান। এ ছাড়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ ও ইন্দোনেশিয়ান খাবার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার একটা বিশাল সুযোগ আছে এ দেশে। সাগর পাহাড়বেষ্টিত এ দেশে বিদেশিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রশংশনীয়। এখানে জীবনযাপনের খরচ বাংলাদেশের মতোই। ইন্দোনেশিয়ার মানুষ সাধারণত অতিথিপরায়ণ। তাই রাস্তা ভুলে গেলে সহজেই জাভার মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায়। জাভানিজ সংস্কৃতি, বালি নাচ অথবা চাইলেই হারিয়ে যাওয়া যায় জাভার প্রকৃতির মাঝে। আর মানুষের সাদামাটা জীবনযাপন দেখে অনুপ্রাণিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে সাড়ে ১৭ হাজার দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।
Discussion about this post