১।পারলে নিজে চেষ্টা করুন, তবে অনেক ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না বলে Consulting Firm এর সাহায্য নিতে হয়।তবে কখনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ বা ব্যক্তির মাধ্যমে ভর্তি প্রসেস করবেন না । মনে রাখবেন ব্যক্তির থেকে প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী ।
২। আপনি নিজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্য নিন, ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে সকল তথ্য, ওখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জেনে নিন । Consulting Firm আপনাকে যে তথ্য দিবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করে নিন । Consulting Firm আপনাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা দিতে পারবে মাত্র, কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনার, এবং সেটা আপনার সারা জীবনের জন্য Important.
৩।শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য থাকে USA, Canada , Australia এর ভাল University তে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু এসব দেশে IELTS, Bank Sponsor , এবং টিউশন ফী বেশী সর্বোপরি ভিসা সাফল্যের হার বাংলাদেশ থেকে কম। এসব জেনে অগ্রসর হবেন, কারন Consulting Firm আপনার ফাইলটি গ্রহণ করলে তারা সার্ভিস চার্জ কেটে রাখবে, ভিসা মেডিক্যাল ইত্যাদি বাবদ আপনার অনেক অর্থ নষ্ট হবে তাই আগে Eligibility Judge করুন পরে সিদ্ধান্ত নিন । আপনি Eligible হলে আবেদনে সমস্যা নেই ।
৪। খরচের তথ্য ভাল করে বুঝে নিন, আপনার পিতা মাতার ব্যয়িত প্রতিটি টাকা বুঝে খরচ করুন, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেইল করুন । Refundable এবং Non Refundable টাকার হিসেব বুঝে নিন । receipt ( মানি রিসিপ্ট ) বুঝে নিন ।
৫। যে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার ভিসা প্রসেস করছেন তাদের Website,ঠিকানা সুনাম সম্পর্কে ভাল করে জানুন । সেখানকার Management এ কারা আছে তাদের সম্পর্কে জানুন, তাতে আপনার সঠিক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
৬। দেশের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন, যে ওখানকার খাবার একদম আপনার বাসার মত হবে না ( এ কথা নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোর জন্যও সত্য)। তাছাড়া কিছুদিন পরে Home Sickness কাজ করতে পারে। তাই অনেক বাংলাদেশী আছে এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন ।
৭। আবেদন ফর্ম থেকে শুরু করে বিদেশে পৌঁছা পর্যন্ত অনেক খুঁটি নাটি বিষয় থাকে , সব ধাপ সম্পর্কে Consulting Firm থেকে জানুন এবং সাহায্য নিন । এটা আপনার অধিকার।
৮।কাজ করা যাবে কি যাবে না জেনে নিন । পড়াশুনাকে প্রাধান্য দিন । মনে রাখবেন আয় আপনি অনেক করতে পারবেন কিন্তু পড়াশুনা করার সুযোগ সব সময় পাবেন না ।
৯। অন্যের কথা শুনতে পারেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নিবেন নিজে, কারো ঋণাত্মক কথায় প্রভাবিত হবেন না । দেখবেন যে যখন আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিজে অবস্থান তৈরি করবেন তখন এরাই আপনাকে স্যালুট করবে ।
১০ । বিনয়ী আচরণ করুন , এমন কিছু করবেন না যাতে দেশ মাতার বদনাম হয়, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবার এবং দেশের মুখ উজ্জল করুন ।
কথায় বলে যৌবন হল যুদ্ধে যাবার বয়স , সুতরাং দেশের বাইরে পড়ার সময়োপযোগী বুদ্ধিদীপ্ত, সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।
Discussion about this post