শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০টি বৃত্তি দেবে তুরস্ক। আঙ্কারায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লুর বৈঠকে এ আশ্বাস পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকারি সফরে তুরস্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এবং তার স্ত্রীর সম্মানে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন। নৈশভোজ আয়োজন, আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। ড. মোমেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক সরকারের দেওয়া বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০টি করার জন্য অনুরোধ জানান। উত্তরে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হন।
ড. মোমেন তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকায় পার্ক উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সাদরে তা গ্রহণ করেন। এছাড়া আগামী বছর তুর্কি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে আলোচনা করেন।
বৈঠকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. মোমেনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর পদক্ষেপগুলো আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হন।
ড. মোমেন এ সময় বিদেশিদের জন্য বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে তার দেশের বিনিয়োগ বাড়াতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে আগামীতেও সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
নৈশভোজে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post