শিক্ষার আলো ডেস্ক
উন্নত শিক্ষা গ্রহণের আশায় অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। তবে এখানের পড়াশোনার খরচও বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর ডিগ্রিতে বছরপ্রতি গড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। ভালো মানের পড়াশোনার পাশাপাশি দেশটিতে সরকারি বৃত্তির এমন সুযোগও রয়েছে। এসব শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। অস্ট্রেলিয়া সরকারের দেওয়া তেমনি একটি স্কলারশিপ হচ্ছে ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ।
অস্ট্রেলিয়ার সব শিক্ষাবৃত্তিগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস শীর্ষে। এ শিক্ষাবৃত্তিতে বলতে গেলে প্রায় সবকিছুই বিনা মূল্যে দেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এই স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিজ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পরিবর্তন আনতে দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের সুবিধার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই বৃত্তি দেয়। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ স্কলারশিপের অর্থায়ন করবে অস্ট্রেলিয়ার ‘ডিপার্টমেন্ট অব ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড’। এ ছাড়া এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। এবারের বাংলাদেশি আবেদনকারীদের মধ্যে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে, যারা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে একটি দেশের উন্নয়নমূলক বিষয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও প্রশাসনিক বিষয় অন্যতম।
যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন:
- অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি
- অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- তাসমানিয়ান পলিটেকনিক
- মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
- সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে।
- মান খরচ।
- বাসস্থান খরচ, পাঠ্য বই ও অধ্যয়ন সামগ্রীর জন্য একটি উপবৃত্তি।
- জীবনযাত্রা ভাতা।
- স্বাস্থ্যবিমা।
- গবেষণা ভাতা।
আবেদনের যোগ্যতা:
- তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।
- স্নাতকের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
- স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
- ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
- আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ বা পিটিই ন্যূনতম ৫৮ পেতে হবে।
- অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়া যাবে না।
- অস্ট্রেলিয়ায় বৃত্তির আবেদন মঞ্জুর হলেও আবেদনকারীকে স্টুডেন্ট ভিসায় আলাদা করে আবেদন করতে হবে।
ওয়েবসাইট: https://www.dfat.gov.a/
আবেদনের শেষ সময়: ২৯ এপ্রিল, ২০২২ইং
Discussion about this post