শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিল্পকলা, সাহিত্য, নৃবিজ্ঞান, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানসহ জ্ঞানের প্রায় সকল শাখাতেই ফরাসিদের অবাধ বিচরণ।মধ্যযুগ থেকে প্যারিস ছিল পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্ন পূরণের একটি সহায়ক হাতিয়ার হতে পারে আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ।
ফ্রান্স সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বেশ জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রাম হলো আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ। প্রতিবছর এই বৃত্তির মাধ্যমে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ফ্রান্সের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়তে আসেন।
এই বৃত্তির আওতায় ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও ১২ মাসের জন্য পিএইচডি কোর্সের অর্থায়ন করা হয়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ম্যানেজমেন্ট, আর্থ সায়েন্স, ল, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স ও ইকোনমিকস ইত্যাদি বিষয়ে এখানে পড়ার সুযোগ আছে।
সুযোগ সুবিধা
১। যাতায়াতের বিমান ভাড়া
২। মাসিক ভাতা–মাস্টার্সে ১১৮১ ইউরো ও পিএইচডিতে ১৭০০ ইউরো
৩। রিটার্ন ট্রিপ
৪। স্বাস্থ্যবিমা
৫। আবাসিক ভাতা
৬। সাংস্কৃতিক ভাতা
তবে এই বৃত্তিতে আপনার টিউশন ফি অন্তর্ভুক্ত নয়।
মাস্টার্স কোর্সে আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছর এবং পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজি অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
এই বৃত্তি প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ফ্রান্সের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করতে হবে। তখনই আপনাকে জানিয়ে দিতে হবে যে আপনি আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে চান।
পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দেবে আপনি স্কলারশিপ পেয়েছেন কি না। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত শুরু হয় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে।
নীচের লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence
Discussion about this post