নওশীন আখতার তিশীন
আইইএলটিএস পরীক্ষা সাধারণত চারটি ভাগে হয়ে থাকে। এই চার ভাগের মধ্যে রাইটিং পার্টকে সবচেয়ে কঠিন মনে করা হয়। এখানে ৭ ও এর বেশি স্কোর ওঠানো সহজ কোনো ব্যাপার না, কিন্তু তাই বলে এটি অসম্ভব কিছুও নয়।
রাইটিংয়ে ভালো করার সহজ ১০টি উপায়:
- টাস্ক-১-এর ক্ষেত্রে লেখা শুরু করার আগে সবচেয়ে হাইলাইট তথ্য (গ্রাফের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মান) কী কী লিখবেন তা আগে প্ল্যান করতে হবে। ১৫০ শব্দের ক্ষেত্রে ১৮০ ও ২৫০-এর ক্ষেত্রে ২৮০ শব্দের বেশি লেখা যাবে না। একই বাক্যের ব্যবহার একবারের বেশি না করলেই ভালো।
- টাস্ক-২ শুরু করবেন ভূমিকা দিয়ে। ভূমিকাটি পরীক্ষক বলবেন যে বাকি রচনাটি কী সম্পর্কে এবং সরাসরি প্রশ্নের উত্তরও দিতে হবে। মেইন বডি প্যারায় আপনি পরীক্ষককে আরও বিস্তারিত জানান। আপনি আপনার প্রধান পয়েন্টগুলো উল্লেখ করে এবং ব্যাখ্যা ও প্রাসঙ্গিক উদাহরণগুলোর সঙ্গে সমর্থন করে দুটি প্যারা করেন।
- সর্বশেষে আপনার উপসংহারে আপনি আপনার বাকি প্রবন্ধে ইতিমধ্যে যা বলেছেন তার একটি সারাংশ প্রদান করবেন।
- যে শিক্ষার্থীরা রাইটিং টাস্ক-২-এ সর্বোচ্চ নম্বর পান, তাঁরা ১০ মিনিট পর্যন্ত তাঁদের উত্তরের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা আপনাকে আপনার ধারণাগুলো সংগঠিত করতে এবং আপনার রচনাটি লেখার আগে গঠন করতে সাহায্য করে, আপনার সময় বাঁচায় এবং আপনাকে একটি পরিষ্কার ও সুসংগত প্রবন্ধ তৈরি করতে সহায়তা করে।
- প্রশ্ন যেভাবে দেওয়া থাকবে তা হুবহু না লিখে পারাফ্রেজ করতে হবে ভিন্ন শব্দ কিন্তু একই মানে থাকে এভাবে।
- কোনো রকম গ্রামার ও বানান ভুল করা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে সাধারণ শব্দ ব্যবহার না করে তার প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে। একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করার ফলে ভোকাবুলারির দুর্বলতা প্রকাশ পায়, যা অনেক সময় মার্কস কমিয়ে দেয়। তাই নতুন শব্দ ব্যবহার করে লেখাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে।
- আমরা Complex sentence-এর ওপর ফোকাস করতে গিয়ে আর কোনো ধরন ব্যবহার করি না। কিন্তু আমাদের ব্যালেন্স করে simple, compound, complex, compound-complex sentences, ‘if’ sentences কমবেশি ব্যবহার করতে হবে।
- কমন ফ্রেজ ও উদাহরণ ব্যবহার না করে নিজের সৃজনশীলতা বিকাশে মনোযোগী হতে হবে। সাধারণ কোনো বাক্য লিখলে তার সঙ্গে একটি উদাহরণ দিয়ে স্টেটমেন্ট আরও শক্ত করতে হবে।
- কনজাংশন (for, and, nor, but, or, yet, so) দিয়ে বাক্য শুরু না করা উত্তম।
- লিংকিং ওয়ার্ডস (And-এর পরিবর্তে moreover, furthermore etc) ব্যবহার করতে হবে।
- শর্ট ফরম (Don’t, Can’t, Shouldn’t, Mustn’t) ইত্যাদি ইনফর্মাল ভাষায় ব্যবহার হয়ে থাকে। রাইটিং টাস্কে এসব শর্ট ফর্ম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে কম্পিউটারের পরীক্ষায় এ শব্দ গণনা উল্লেখ করা থাকলেও খাতার পরীক্ষায় থাকে না আর আমরা গণনা করতে ভুলে যাই। তাই প্রতি প্যারা শেষে গুনে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনের অধিক শব্দ ব্যবহার না হয়।
- প্রশ্ন কয়েকবার করে পড়ে তা নিয়ে চিন্তা করে শুধু রেলেভেন্ট কথা যুক্তির সঙ্গে লিখতে হবে, টপিক থেকে সরা যাবে না।
- মাঝে মাঝে প্রশ্নে কয়েকটি অংশ থাকলেও আমরা সবগুলোর উত্তর লিখি না, তাই লেখা শুরু করার আগে এক সাইডে মাথায় আসা পয়েন্টগুলো ছোট করে লিখে রেখে মিলিয়ে নিতে হবে যে সবকিছুর উত্তর দেওয়া হয়েছে কি না।
- কঠিন হলেও এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করে গেলে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব।
- বই ও ইউটিউব চ্যানেল রেকমেন্ডেশন:
- আমার মতে, Cambridge IELTS (৯-১৬)-এর রাইটিং পার্ট অনুশীলন করলেই হবে। তা ছাড়া ইন্টারনেটে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
মক টেস্ট করলে ভালো।
শুধু তাই নয়, যে প্রশ্ন অনুশীলন করা হবে, গুগলে তার ব্যান্ড ৮/৯ নমুনা উত্তর পড়ে আইডিয়া নিয়ে নিজের প্রতিটি লিখতে হবে।
ইউটিউবে এ দুটি চ্যানেল অনুসরণ করা যায়—
IELTSLIZ এবং FASTRACK IELTS.
লেখক-নওশীন আখতার তিশীন ,আইইএলটিএস পরীক্ষায় ব্যান্ড ৮ পাওয়া
Discussion about this post