শিক্ষার আলো ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফুল-ফ্রিতে স্নাতকোত্তরে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে কমনওয়েলথ মাস্টার্স স্কলারশিপ। কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য অবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৮ অক্টোবর।
যুক্তরাজ্য সরকারের কমনওয়েলথ স্কলারশীপ বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশীপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে আর এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে ‘Department of International Development’। প্রায় ৩৫ হাজার জন এ পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। কমনওলেথের আওতায় হওয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে।
সুযোগ-সুবিধা:
• সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান
• রাউন্ড বিমানের টিকিট
• বসবাসের জন্য মাসিক ভাতা। মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন টাকা দেওয়া হয়
এগুলো ছাড়াও কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলন যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
আবেদনের যোগ্যতা:
• কমনওলেথভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে
• নেতৃত্বেদানের ক্ষমতা থাকতে হবে
• আর্থিক প্রয়োজনীয়তার কারণ দেখাতে হবে
• একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে
• একটি গবেষণা পরিকল্পনা থাকতে হবে
• দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাইলে, কেন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন তার কারণ দর্শাতে হবে
• আবেদনকারীর কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে
• যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না
প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
• পাসপোর্টের কপি
• একাডেমিক সব সার্টিফিকেট ও মার্কশিট
• রেফারেন্স লেটার
• স্বেচ্ছাসেবক এবং নেতৃত্বের যেকোন সুযোগের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ (500 শব্দ পর্যন্ত)
• জীবনবৃত্তান্ত
আবেদন প্রক্রিয়া:
কমনওয়েলথ স্কলারশীপের নির্বাচন প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। যার ফলে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে।
আবেদন করতে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন লিংকে (https://cscuk.fcdo.gov.uk/scholarships/commonwealth-masters-scholarships/)।
Discussion about this post