শিক্ষার আলো ডেস্ক
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (বৃত্তি) প্রদান করতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও আগ্রহীদের কাছে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপস ইন দ্য ইউনাইটেড কিংডম ২০২৩’-এর জন্য ইউজিসি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা মনোনীত প্রতিষ্ঠান আছে।
জানা যায়, কমনওয়েলথের মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে। সাধারণত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মাধ্যমে মাস্টার্সে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়া হয়। মাস্টার্সের জন্য কমনওয়েলথের এই স্কলারশিপের যাবতীয় অর্থ দেয় ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০ বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট-সাইট স্টাডি)। কমনওয়েলথের আওতাধীন হওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।
কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধাগুলো
১. স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়েলথ কমিশন
২. যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার বিমানের টিকিট।
৩. লন্ডনের বাইরে থাকলে মাসিক ভাতা হিসেবে দেয়া হয় ১ হাজার ৮৬ পাউন্ড। লন্ডনের ভেতরে থাকলে ভাতার পরিমাণ ১ হাজার ৩৩০ পাউন্ড।
৪. মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন ৪২১ পাউন্ড পাওয়া যাবে।
৫. ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্রান্ট’ হিসেবে ২০০ পাউন্ড বা প্রায় ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
৬ ‘থিসিস গ্রান্ট’ হিসেবে দেয়া হয় ২২৫ পাউন্ড।
৭. এছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদী কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করা হয়।
আবেদনের যোগ্যতা
- কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।
- নেতৃত্বদানের ক্ষমতা থাকতে হবে।
- আর্থিক প্রয়োজনীয়তার কারণ দেখাতে হবে ৷
- একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে।
- গবেষণা পরিকল্পনা থাকতে হবে।
- দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাইলে, কেন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাইছেন তার কারণ দর্শাতে হবে।
- আবেদনকারীর কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
- যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পাসপোর্টের কপি।
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- একাডেমিক সব সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের সত্যায়িত কপি।
- রেফারেন্স লেটার।
- জীবনবৃত্তান্ত।
- প্রকাশনার বর্ণনা। (যদি থাকে)
- আইইএলটিএস স্কোরের সনদ। (যদি থাকে)
- ৫০০ শব্দের মধ্যে ভলান্টিয়ারিংয়ের অভিজ্ঞতার বর্ণনা (যদি থাকে)।
আবেদনের প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে স্কলারশিপসংক্রান্ত বিস্তারিত সব তথ্য জানতে পারবেন। আবেদন করতে প্রথমে ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ নিম্নলিখিত ঠিকানায় হার্ডকপি জমা দিতে হবে ৷
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়: আগামী ১২ অক্টোবর, ২০২২
হার্ডকপি জমা দেওয়ার ঠিকানা:
সচিব, উচ্চশিক্ষা কমিশন, আগারগাঁও প্রশাসনিক ভবন এলাকা, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।
Discussion about this post