মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ উদযাপন করলো ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুরআন তেলাওয়াত, আলোচনা সভা,সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরে উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ—উপাচার্য এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, ট্রেজারার ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ এবং কর্মকতার্সহ শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা সভায় বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তারা বলেন, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা ও সালাম জানায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো এ দেশের মানুষ। এ দেশে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের কোনো স্বাধীন দেশ জন্ম হতো না। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছিল বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের। এটি বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য একটি দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় দিনটি।
বক্তারা আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা, তাই মহান এই অর্জনকে ঐক্যবদ্ধভাবেই রক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমের মাধ্যমে সোনার বাংলা বিনিমার্ণে আমাদের সকলকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসতে পারলে তবেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মযার্দা অক্ষুন্ন থাকবে।
Discussion about this post